ওয়েব ডেস্ক: – বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তা দোলা দেয় শিশুমনকেও। কৃষক-সহ অন্যান্যদের প্রাণ বাঁচাতে উদ্যত হয়ে ওঠে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। বজ্রাপাতে প্রাণহানি রুখতে অভিনব ছাতা আবিষ্কার করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিল শ্রেয়ক পণ্ডা।
পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের বাহাদুরপুর দেশপ্রাণ শিক্ষানিকেতনের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র শ্রেয়ক পণ্ডা। বেশ কয়েকদিন আগে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কমিউনিকেশন ও ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সহযোগিতা এবং রাজ্য সায়েন্স কমিউনিকেটর ফোরামের আয়োজনে রাজ্যস্তরের শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেস প্রতিযোগিতায় যোগ দেয় সে। করোনা আবহে ভারচুয়ালি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই প্রতিযোগিতায় ‘থান্ডারস্টিক ফর ফার্মার্স’ মডেল তৈরি করে শ্রেয়ক। তার প্রজেক্ট গাইড ছিলেন তার স্কুলেরই টিচার ইনচার্জ নিতাইচরণ পাত্র।
এমন অভিনব ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে একটি অব্যবহৃত ছাতা, ৪ এমএম তামার তার, পিভিসি পাইপ, ৪ এমএম রডকে কাজে লাগিয়েছে শ্রেয়ক। আর তা দিয়েই অভিনব ছাতা তৈরি করেছে শ্রেয়ক। যার আর্থিং প্রায় ২-৩ ফুট করা যাবে। ছাতাটি প্রয়োজনে ছোট করে ভাঁজ করে রাখা যাবে। বর্ষাকালে কৃষক মাঠে কাজের সময় নিজেই নিয়ে যেতে পারবেন ছাতাটি। আকাশে মেঘ বা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে নিজে যেখানে কাজ করবেন, সেখান থেকে বেশ কিছুটা দূরে আলের উপর দাঁড় করিয়ে রাখতে পারবেন। তাতেই হবে সমস্যার সমাধান। কমবে বজ্রাঘাতে প্রাণহানির সম্ভাবনা।
রাজ্য শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসে সফলতা অর্জন করে জাতীয় স্তরে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে শ্রেয়কের এই গবেষণা। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর, শিক্ষক দিবসে ভারচুয়াল মাধ্যমে ‘খুদে বিজ্ঞানী’ শ্রেয়ককে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর কার্তিকচন্দ্র আদক বলেন, “শ্রেয়কের আবিষ্কার কৃষকরা মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবেন। এখানেই বিজ্ঞানের সফলতা।” শ্রেয়কের সাফল্যে খুশি প্রায় সকলেই। শ্রেয়কের আরও সাফল্য কামনা করেছেন তার বাবা অসীমকুমার পণ্ডা।
সৌজন্য :- সংবাদ প্রতিদিন