খোদ বিদ্যুৎ মন্ত্রীর বাড়িতে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল, মন্ত্রীর অফিসে দৌড়োলেন সি ই এস সি-র কর্তারা। কিন্তু সাধারণ মানুষের কি হবে, প্রশ্ন আমজনতার
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রীর বাড়িতে এই মাসে অস্বাভাবিক বেশি বিদ্যুতের বিল এসেছে। এব্যাপারে বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিদ্যুৎ কর্তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় অস্বস্তিতে পড়ে সি ই এস সি-র কর্তারা তড়িঘড়ি করে দৌড়োন বিদ্যুৎ মন্ত্রীর অফিসে। সূত্রের খবর, অবিলম্বে বিল চেক করে দেখে বাড়তি টাকা যাতে না দিতে হয়, তার জন্য নতুন বিল পাঠাবেন বলে মন্ত্রীকে আশ্বাসও দিয়ে আসেন তারা। মন্ত্রী বলে কথা ! তাই তার বিলের সমস্যা হয়তো খুব সহজেই মিটে যাবে। বিলও নিশ্চিত ভাবে কমে যাবে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কি হবে ? এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আমজনতা।
সূত্রের খবর, বিদ্যুৎ মন্ত্রীর বাড়িতে বিদ্যুতের বিল এসেছে ১২ হাজার টাকা। অথচ এ্যাভারেজ বিল এলেও তা ৭ হাজার টাকার বেশি আসার কথা নয়। এনিয়ে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় মুখ খুলতেই বিদ্যুৎ কর্তারা চাপে পড়ে যান। তড়িঘড়ি করে তারা ছোটেন বিদ্যুৎ মন্ত্রীর অফিসে। তারা সেখানে কথা দিয়ে আসেন দ্রুত এই সমস্যা মিটিয়ে দেওয়া হবে। তার বিলের সমস্যা মিটে গেলেও ৩২ লক্ষ বিদ্যুৎ গ্রাহকের কি হবে তা নিয়ে মন্ত্রী কিন্তু কিছুই মন্তব্য করেননি।
উল্লেখ্য, করোনা’য় লকডাউন ও আমফান কাণ্ডের জেরে সি ই এস সি-র পক্ষ থেকে গ্রাহকের মিটার রিডিং নেওয়া হয়নি। যারফলে তারা গত বছর নির্দিষ্ট ওই মাসের বিল অনুযায়ী এবছরে এই মাসের এ্যভারেজ বিল পাঠায় সি ই এস এস সি। তাতেও দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ গ্রাহককে অত্যাধিক বেশি বিল পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ২-৩ গুন বেশি বিল পাঠানো হয়েছে। আবার শর্ত দিয়েছে বিল যদি বেশি হয়, সেটা তিন মাসের কিস্তিতেও পরিশোধ করা যাবে।
আর এ নিয়েই সোচ্চার হয়েছে বিদ্যুৎ গ্রাহক থেকে শুরু করে বিরোধী দলগুলোও। গ্রাহকদের বক্তব্য, “বিদ্যুৎ বেশি খরচ না করেও কেন কিস্তি দিতে যাব ? এটা তো গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার কেন এই মনোপলি ব্যবসা ভাঙছেন না ?”
শুধু এই লকডাউন কিংবা আমফানই নয়, ইদানিং কালে সি ই এস সি অনেক বেশী বিল পাঠাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জনসাধারণের দাবি অবিলম্বে এই মনোপলি একতরফা ব্যবসা ভেঙ্গে দিক রাজ্য সরকার। অন্যথায় প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের।