ওয়াকআপ সম্পত্তির ওপর বিজেপির পার্টি অফিস
ডোমার কাছে রিপোর্ট চাইল ওয়াকফ বোর্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি, ওয়াকফ সম্পত্তির ওপর বিজেপির পার্টি অফিস তৈরি করা নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য। জলপাইগুড়ি পৌরসভা এলাকায় ওয়াকফ সম্পত্তির উপর বিজেপি জেলা পার্টি অফিস তৈরি করেছে। এই পার্টি অফিস তৈরি করার জন্য তৃণমূল পরিচালিত পুরো বোর্ড অনুমোদন দেয়। অন্যদিকে শাসক দলেরই একাংশ ওয়াকাফ সম্পত্তির কথা মনে করিয়ে দিয়ে পার্টি অফিসের এই বিল্ডিং তৈরীর বিরোধিতা করে। যা নিয়ে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়। সেই সঙ্গে প্রকাশ্যে আছে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মতবিরোধ। এই অবস্থায় দখল হয়ে যেতে থাকে জলপাইগুড়ি পৌরসভা এলাকায় ওয়াকফ সম্পত্তি। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এই খবর দেখে নড়েচড়ে বসে পশ্চিমবঙ্গ ওয়াকফ বোর্ড। তড়িঘড়ি খোঁজখবর শুরু করেন, ঐ সম্পত্তির মতোয়াল্লী কে। দীর্ঘ কয়েক দিন ধরে তদন্ত করেও, ঐ সম্পত্তির মতোয়াল্লী খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানান বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল গনি। তিনি বলেন, জলপাইগুড়ির যে সম্পত্তির উপর বিজেপি পার্টি অফিস করেছে, তার কোন মতোয়াল্লী নেই। কিন্তু বিজেপি বলছে, সম্পত্তি নাকি কোন এক ব্যক্তির কাছ থেকে তারা ক্রয় করেছেন। কিন্তু কী সেই ব্যক্তি, যিনি ওই সম্পত্তি কে বিক্রয় করতে পারলেন। এ বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলার সংখ্যালঘু উন্নয়ন আধিকারিক (ডোমা) কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে ওয়াকফ বোর্ড। বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল গনি জানিয়েছেন, সেই রিপোর্ট হাতে এলেই আমরা বিস্তারিত তদন্তে নামব। ওয়াকফ সম্পত্তি দখল হবে, বা সেই সম্পত্তি বোর্ডকে না জানিয়ে কেউ বিক্রি করবে এমনটা হতে পারে না। চেয়ারম্যান আব্দুল গনি দাবি করেছেন, জলপাইগুড়ি বর্তমান পুরো প্রশাসক জানিয়েছেন, বিজেপিকে পার্টি অফিসের ভবন করার জন্য যে অনুমোদন দিয়েছিল তা বাতিল করা হবে।
উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি জেলার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, শাসক দলের তুলনায় বিজেপির প্রভাব অনেকটাই বেশি। সেই প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে, প্রশাসনে আধিকারিকদের ব্যবহার করে ওই সম্পত্তি কার্যত দখল করার চেষ্টা করে গেরুয়া শিবির। যা নিয়ে চরম বিরোধিতা শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। এখন দেখার, ওয়াকফ বোর্ড ওই সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করতে পারে কিনা।