সুগার বা ডায়াবেটিস কী ও কেন হয়? সুগারে আলু খাওয়া যাবে কী?? লিখেছেন— বাংলার প্রখ্যাত ডাঃ ইয়ার আলী

Spread the love

সুগার বা ডায়াবেটিস কী ও কেন হয়?
সুগারে আলু খাওয়া যাবে কী??
লিখেছেন—প্রখ্যাত ডাঃ ইয়ার আলী
ফিজিসিয়ান, এম বি বি এস,
(এক্সপার্ট এন্ড এক্সপেরিয়েন্সড্ ইন অল ক্রনিক ডিজিজ)

অয়ন বাংলা,স্বাস্থ্য ডেস্ক:- ডায়াবেটিস যাকে আমরা সাধারনতঃ ব্লাড সুগার বলে জানি,সেটা আমাদের ভারতবর্ষে প্রায় ১৩০ কোটি মানুষের মধ্যে ৩১ কোটি ৭ লক্ষ ৫০০০ মানুষ আক্রান্ত!!! বর্তমান প্রেভেল্যান্স (১২%) অনুযায়ী আগামী ২০৩০ এর মধ্যে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যাটা প্রায় ৭৯ কোটি ৪ লক্ষ ৪১ হাজারে ঠেকতে পারে!!
(According the official WHO estimates, the total global diabetic population in the year 2000 stood at 171,000,000 which is estimated to spike up to a whopping 366,000,000. India had an estimated 31,705,000 diabetics in the millennium year which is estimated to grow by over 100% to 79,441,000 by 2030. According to the International Diabetes Federation Atlas 2015, an estimated 69.2 million Indians are diabetic, which as per the WHO assessment, stood at 63 million in the year 2013. The estimates depict that diabetes prevalence has alarmingly doubled and so far has grown by over 100% in the past 15 years.
https://food.ndtv.com/health/100-growth-in-diabetes-patients-in-india-in-the-last-15-years-1292926 )

কল্পনা করুন, আমরা ভারতীয়রা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার জন্য কতটা ভয়ঙ্কর অবস্থানে বিরাজ করছি!

১৪ ই নভেম্বর —বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উদযাপিত হয়ে থাকে৷ এই দিনে ব্লাড সুগার বা ডায়াবেটিস নিয়ে নানা সচেতনতা মূলক আয়োজন ও অনুষ্ঠান হয়ে থাকে পৃথিবীর সর্বত্র৷

আমি ডাঃ ইয়ার আলী , আশ-শিফা ট্রাষ্টের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য-সচেতনতা মূলক আয়োজনে ” ব্লাড সুগার বা ডায়াবেটিস” নিয়ে লিখছি৷

আমি যে তথ্যগুলি পরিবেশন করব, তা সচারচর কোথাও পাবেন না এবং চূড়ান্তভাবে সঠিক ও সত্য! পরিবেশিত তথ্যগুলি বাস্তবতা ও সত্যতায় উত্তীর্ণ৷ আপনার জীবনকে,আপনার ডায়াবেটিসকে নির্মূল করতে অত্যন্ত সহায়ক হবে৷ ইনশাল্লাহ!

ডায়াবেটিস কী?
দেহকে, ব্রেনকে, হার্টকে, কিডনিকে, লিভারকে প্রভৃতি সকল অঙ্গ ও সিষ্টেমকে ফাংশনাল বা চালু রাখতে যে শক্তির যোগান দিতে হয় সেটা ব্লাডের গ্লুকোজ বা সুগার থেকে আসে৷ ঠিক যেমন—গাড়ী বা যন্ত্র চালু রাখতে তেল বা শক্তির প্রয়োজন৷ গাড়ীর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও, তেল না থাকলে যেমন গাড়ী চলতে পারেনা, তেমনি একটি দেহ এর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও, ব্লাডে গ্লুকোজ না থাকলেও বডি বা দেহ চলতে পারেনা৷ আমাদের দেহের চালিকাশক্তির উৎস এই ব্লাড গ্লুকোজ বা সুগার৷

এই গ্লুকোজ আমাদের দেহে লিভারে সন্চিত থাকে ,রিজার্ভ বা প্রয়োজনে কাজে লাগানোর জন্য; ব্লাডে থাকে- সর্বদা দেহের সর্বত্র—প্রতিটি অঙ্গের প্রতিটি কোষে সরবরাহ করার জন্য৷ যাতে প্রতিটা কোষের কাজকর্ম ও শক্তির উৎস বজায় থাকে৷ এক্ষণে, ব্লাডের এই সুগারের মাত্রাটা খাদ্যগ্রহণের মান ও পরিমাণ এবং তৎপরবর্তী সময়কাল অনুযায়ী পরিবর্তন হয়৷ তবে, মোটামুটি খালিপেটে ৭০—১১০ মিগ্রা/মিলি এবং ভরাপেটে ১০০—২০০ মিগ্রা/ মিলি থাকা বান্ছনীয়৷
এই রেন্জের মধ্যে ব্লাড সুগার ফ্লাকচুয়েট বা পরিবর্তন হলে, কোষীয় স্তরে সুগার সরবরাহ ঠিক থাকে৷

এই যে, ব্লাডের সুগারের ফ্লাকচুয়েশন— এটার নিয়ামক বা কন্ট্রোলার লিভার, প্যাংক্রিয়াস ও এড্রিনালিন গ্লান্ড৷ এই তিনটি অঙ্গ অত্যন্ত নিপুণ ও পরিমিতভাবে ব্লাডের এই সুগার লেবেলকে নিয়ন্ত্রন সর্বক্ষণ করেই চলেছে৷

যদি, এই তিনটি নিয়ামকের পারস্পরিক সামান্জস্যপূর্ণ এই কন্ট্রোলিং সিষ্টেমটা কোনওভাবে বিনষ্ট হয় বা দূর্বল হয়ে পড়ে—তখন ব্লাড গ্লুকোজের এই সুষ্ঠু ব্যালান্সটা বেনিয়ম ও অগুছালো হয়ে পড়ে৷ তখন, ব্লাডের গ্লুকোজ অত্যাধিক কমে যায় (<৫০ মিগ্রা/মিলি) যাকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলে৷ ব্লাডের গ্লুকোজের মাত্রা অত্যাধিক হয়ে যায় ( >২০০ মিগ্রা/মিলি) যাকে হাইপারগ্লাইসেমিয়া বলে৷

হাইপোগ্লাইসেমিয়া ও হাইপোগ্লাইসেমিয়া —এই দুটো অবস্থাকেই ডায়াবেটিস বা ব্লাড সুগার বলে৷

ব্লাড সুগারের শুরুটা কোথায়?
আমরা মনে করি, ডায়াবেটিস রোগের মূল কারণ ফ্যামিলিয়াল ফ্যাক্টর বা জিনগত এবং অটো ইমিউন৷ যদিও, এই তত্বদুটি ত্রুটিপূর্ণ ও একদম সঠিক নয়!

(এই ব্যাপারে আপনি নিচের লিঙ্কটি পড়ুন:—

https://asshifatrust.com/2019/11/05/auto-immunity-is-not-reality/)

ওবেসিটি বা মোটাপন কে আমরা বা মেডিক্যাল সিষ্টেম একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেডিসপোজিং ফ্যাক্টর মনে করি ৷ লাইফস্টাইল,স্ট্রেস,হাইফ্যাট ডায়েট প্রভৃতিকে সুগার ডেভেলপ হওয়ার ফ্যাক্টর মনে করি৷ এগুলি, একদম সঠিক৷ কিন্তূ, এই ফ্যাক্টরগুলি কীভাবে ও কী কী ধাপে ব্লাডসুগার তৈরী করছে—এই সম্পর্কে এখন পর্যন্ত সম্যক ধারণা ও ব্যাখ্যা জানা নেই— আধুনিক মডার্ণ মেডিসিন এ৷ ওবেসিটি মূলতঃ লিভারজনিত সমস্যা৷
ডায়াবেটিস প্রকৃতপক্ষে একটি লিভার-প্রবলেম!
ডায়াবেটিস শুরুই হয় লিভার বা যকৃতের সমস্যা হিসাবে যখন লিভার প্রাথমিক স্টেজে শ্লাগিস, স্ট্যাগন্যান্ট অথবা প্রে ফ্যাটি লিভার হিসাবে অবস্থান করছে৷ এই অবস্থা কোনও লিভার টেষ্ট বা সোনোলজিতে ধরা তখনও পড়েনা!

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে লিভারের গ্লুকোজ স্টোর হল-বিশাল গুরুত্বপূর্ণ! আমাদের লিভার- আমরা যে খাবার খায়,সেখান থেকে গ্লুকোজ গ্রহণ করে এবং এর কিছু অংশ সন্চিত রাখে-রেডিমেড হিসাবে৷ যাতে যখন ব্লাড গ্লুকোজ ড্রপ করবে তখন সঙ্গে সঙ্গে ব্লাডে সরবরাহ করতে পারে৷ অতিরিক্ত গ্লুকোজকে ঘন,গাড় ও পেষ্টের মত গ্লাইকোজেন হিসাবে স্টোর করে রাখে (গ্লাইকোজেনোসিস)৷
এই গ্লাইকোজেন আবারও গ্লুকোজে পরিবর্তিত হয়ে ব্লাডে চলে আসে যখন আমাদের ব্লাডে খাদ্যগ্রহণের মাধ্যমে গ্লুকোজ বা কার্বোহাইড্রেট আসবেনা দীর্ঘ সময় ধরে৷ লিভারে কনসেন্ট্রেটেড ওয়াটার মলিকুল ও ইনজাইমের( একটি কেমিক্যাল কম্পাউন্ড) সাহায্যে এই প্রক্রিয়া ( নিওগ্লুকোজেনেসিস) হয়ে থাকে৷ দীর্ঘ অনাহারে এই গ্লাইকোজেন আমাদের বাঁচিয়ে রাখে৷ লিভার এই মহামূল্যবাণ গ্লুকোজ ও গ্লাইকোজেন সন্চিত রাখে যাতে আমরা ব্লাড সুগার ইমব্যালান্স বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত না হই৷

কীভাবে ব্লাড সুগার ইমব্যালান্স সৃষ্টি হচ্ছে?
যদি লিভার দূর্বল হয়ে পড়ে—চর্বি বা ফ্যাটসমৃদ্ধ খাদ্যের মাধ্যমে, প্যাথোজেনিক সক্রিয়তায় বা বিভিন্ন জীবাণুর সংক্রামনে, বিষাক্ত হেভি মেটালস এর অক্সিডেশনে, অথবা অন্যকোনও বিষে; তাহলে লিভার গ্লুকোজ ও গ্লাইকোজেন যথার্থভাবে স্টোর করতে পারেনা-যেমনটা স্টোর করা উচিৎ ছিল৷ ব্লাড গ্লুকোজের ইমব্যালান্স শুরু হয় যখন আপনার লিভার সুগার সরবরাহ পরিমিতভাবে করতে পারবেনা৷ অপর্যাপ্ত বা শুন্য স্টোর হলে, প্যাংক্রিয়াস কে প্রতিরক্ষা করার ক্ষমতা লিভার হারিয়ে ফেলবে৷

(দ্রষ্টব্যঃ লিভারে কাজ:—
লিভারে হাজার হাজার কেমিক্যাল কাজ অনবরত চলছেই! এরই মধ্যে প্রধান ছ’টি কাজ হল—
১) ফ্যাট ডাইজেশন ও প্যাংক্রিয়াসকে রক্ষা করা৷
২)গ্লুগোজ স্টোর ও গ্লাইকোজেন জমা রাখা
৩)ভিটামিনস ও মিনারেলস জমা রাখা
৪) সমস্তরকম ক্ষতিকর বস্তূগুলিকে অক্ষতিকর (Disarming) ও নিজের মধ্যে আটক করা(Detaining)৷
৫)রক্তকে স্ক্রিনিং(Screening) করা এবং ফিল্টার করা(Filtering) ৷
৬)লিভার -এর নিজস্ব ইমিউনিটি দিয়ে পুরো দেহকে বিভিন্ন জীবানু বা ক্ষতিকর বস্তূ থেকে রক্ষা করা৷ )

খাদ্যগ্রহণের অন্তর্বর্তীকালীন সময় যখন আমরা না খেয়ে থাকি, সেই সময়ে লিভার যে গ্লুকোজ রক্তে সরবরাহ করত সেটা ন্যূনতম হওয়ার জন্য বা বন্ধ হওয়ার জন্য ব্লাড গ্লুকোজকে ঠিকঠাক রাখতে সেকেন্ডলাইন আর্মি হিসাবে এড্রিনালিন গ্লান্ড অতিরিক্ত এড্রনালিন সিক্রেশন শুরু করে, প্যাংক্রিয়াস অতিরিক্ত কেমিক্যাল প্রেসারে অতিরিক্ত ইনসুলিন সিক্রেশন শুরু করে৷ এই অতিরিক্ত ইনসুলিন প্রোডাকসন এড্রিনালিনের প্রভাবে আরও প্রভাবিত হয়৷ ফলে, প্যাংক্রিয়াশ প্রচন্ড স্ট্রেস কন্ডিশনে চলে যায়৷ এই অতিরিক্ত ইনসুলিন প্রত্যেক সুগার মলিকুলকে কোষীয় স্তরে অনুপ্রবেশ করিয়ে ছাড়ে৷ ফলতঃ প্যাংক্রিয়াস ক্রমশ: নিস্তেজ ও নিঃশেষ হয়ে পড়ে৷ তৎপরবর্তী ফলশ্রুতিতে প্যাংক্রিয়াস প্রয়োজনের তুলনায় কম ইনসুলিন সিক্রেশন করে ও কিছু কিছু জায়গা শক্ত হয়ে গিয়ে ইনসুলিন সিক্রেশনে অক্ষম হয়ে পড়ে৷
এক্ষনে, যদি রক্তে চর্বি বা ব্লাড ফ্যাট থাকে তবে এই অল্প ইনসুলিনের পক্ষে সুগারকে ঠেলে কোষে প্রবেশ করানো দূঃসাধ্য হয়ে উঠে৷ ব্লাডের ফ্যাট যত বাড়বে, ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কোষীয়স্তরে ততই কমবে৷ এটাকেই ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সি বলে৷ ব্লাড ফ্যাটই ইনসুলিনের প্রকৃত রেজিস্ট্যান্স৷
ফলতঃ ব্লাডের গ্লুকোজ রক্তে বাড়তেই থাকবে ৷

ইনসুলিন কম সিক্রেশন ও পাশাপাশি ইনসুলিন রেজিন্ট্যান্সি — এই দুটোর সমন্বয়ের কারণেই আজকের টাইপ ২ ডায়াবেটিস হয়ে থাকে৷

টাইপ ১ ডায়াবেটিস হয় যখন প্যাংক্রিয়াস পুরোটাই নষ্ট বা আঘাতপ্রাপ্ত হয়৷ এই আঘাতটি বা ইনজুরি টি — ফুড পয়জনিং, ভাইরাস ইনফেকশন, টক্সিক ইনজুরি,অথবা এমনকি ট্রমাটিক ব্লোও থেকে হতে পারে৷ এটি অল্প বয়সেই হয়ে থাকে৷
টাইপ ১.৫ ডায়াবটিসও ঐ একই কারণে হয়ে থাকে৷ প্যাংক্রিয়াসের ইনজুরিটা একটু বয়স হলে হয়৷

ব্লাড সুগারের জন্য মূখ্য দায়ী কে?
আমাদের মধ্যে বদ্ধমূল এই ধারণা প্রোথিত যে, ডায়াবেটিসের মূখ্য উদ্দীপক —সুগার বা ব্লাড গ্লুকোজ৷ এই ধারণা থেকেই ব্লাড সুগারের রোগীদের পরামর্শ দেওয়া হয়-কার্বোহাইড্রেট কম খেতে এবং সর্বপ্রকার সুগার বা কার্বোহাড্রেট খাবার এড়িয়ে চলতে বলা হয়, এমনকি ফলমূলও ! অস্বাস্থ্যকর সুগার বা কার্বোহাইড্রেট এর উৎস যেমন-পেস্ট্রি, কেক,কুকিস, কোক, ডাফনাট, ক্যান্ডি প্রভৃতি প্রকৃতপক্ষেই আমাদের জন্য বা ব্লাডসুগারের জন্য ক্ষতিকর৷ এগুলি অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে৷
যাইহোক, আমাদের দেহে স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট বা সুগার অবশ্যই প্রয়োজন-কোষীয় স্তর থেকে দেহের স্বাভাবিক কাজকর্ম ঠিকঠাক রাখার জন্য৷ এই স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট সমস্ত ফল ও শব্জীতে পাওয়া যায়৷ যেমন- স্কুয়াশ, মিষ্টি আলু, গাজর, লেন্টিল, বেরী, আপেল ইত্যাদি৷

যখন আমরা কার্বোহাইড্রেট খায়( সেটা যে কোন উৎস থেকেই হোক না কেন), আমাদের ডাইজেষ্টিভ সিষ্টেম সেটাকে ভেঙে ভেঙে গ্লুকোজে রূপান্তরিত করে( সুগার)৷ এই সুগারই আমাদের চালিকা শক্তি, এটাই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে৷ যখন গ্লুকোজ লেবেল ব্লাডে বৃদ্ধি পেতে থাকবে,তখন আমাদের প্যাংক্রিয়াস ইনসুলিন হরমোন সিক্রেশন করে৷ ইনসুলিন বিভিন্ন কোষে পৌঁছে যায়৷ ওখানে গ্লুট ট্রান্সপোর্টারের মাধ্যমে ব্লাড থেকে গ্লুকোজ কোষের মধ্যে প্রবেশ করায়৷ এবং ফলতঃ ব্লাড গ্লুকোজ স্থিতাবস্থায় চলে আসে৷ এই প্রক্রিয়াটি গন্ডগোল হবে যখন প্যাংক্রিয়াস যথেষ্ট পরিমাণে ইনসুলিন তৈরী করতে পারবেনা৷ অথবা, কিছু কিছু কোষ ইনসুলিনের প্রতি রেসপন্ড করেনা ইনসুলিন রেজিস্টেন্সির জন্য৷ যে কোন একটি বা দুটিই থাকলে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসে ব্লাড গ্লুকোজ বাড়তে থাকে৷

রক্তের চর্বি বা ব্লাড ফ্যাটের ভূমিকাঃ—
একটি জনপ্রিয় প্রচলিত ধারণা আছে যে, ফ্যাট বা চর্বি সমৃদ্ধ ডায়েট ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সি ও ডায়াবেটিসের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়৷
কারণ,(১) রক্তের অতিরিক্ত চর্বি-লিভার, প্যাংক্রিয়াস ও এড্রিনালিনকে প্রচন্ড স্ট্রেন বা চাপ সৃষ্টি করে৷ এই তিন অর্গান সম্মিলিত সমন্বয়ে ব্লাড গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে যেটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ হাই ফ্যাট ডায়েটকে প্রসেসিং করতে লিভারকে অতিরিক্ত বাইল এসিড তৈরী করতে হয়৷ অথচ, লিভার অলরেডি শ্লাগিস, ফ্যাটি বা অভার বার্ডেনড্ ৷ ফলতঃ যথেষ্ট পরিমাণে ফ্যাট পরিপাকে অতি প্রোয়োজনীয় বাইল এসিড তৈরী হয় না৷ উপযুক্ত ও যথার্থভাবে গ্লুকোজ বা গ্লাইকোজেন স্টোর লিভারে হচ্ছেনা৷ অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবারকে ডাইজেষ্ট করতে প্যাংক্রিয়াস কে অতিরিক্ত চাপে এনজাইম ( এমাইলেজ, লাইপেজ) সিক্রেসন করতে হয়৷ প্যাংক্রিয়াসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷(২) উপরন্তূ, রক্তে চর্বি পরিমাণ বেশী হলে,এড্রিনালিন হরমোন বেশী সিক্রেসন হয়৷ রক্তে এড্রিনালিন হরমোন বেশীমাত্রাতে বিরাজ করে৷ অতিরিক্ত এড্রিনালিন , প্যাংক্রিয়াস লিভার সহ সকল অঙ্গের জন্য হানিকর৷ শেষপর্যন্ত, প্যাংক্রিয়াস ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যথেষ্ট পরিমাণে ইনসুলিন সিক্রেসন করতে পারেনা৷ ফলতঃ ব্লাড সুগার অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে৷
(৩) হাই ব্লাড ফ্যাট – কোষের মধ্যে সুগার বা গ্লুকোজ প্রবেশ করাতে বাধা প্রদান করে( ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সি)৷ ফলতঃ রক্তের সুগার বৃদ্ধি পায়৷ ভাল বা খারাপ সমস্ত ফ্যাটই এই বাধা প্রদান করে৷ তাই, সমস্ত ফ্যাট খাবারই ( বাদাম, সিডস, এভোক্যাডো প্রভৃতি) সুগার রোগীদের কমাতে হবে৷

আপনি কী ধরণের খাদ্যতালিকা বা ডায়েট ফলো করেন, সেটার থেকে গুরুত্বপূর্ণ ডায়েট থেকে সমস্তধরণের চর্বি বা ফ্যাটযুক্তখাবার বাদ দেওয়া— যখন আপনি প্রে ডায়াবেটিস বা ডায়াবেটিসে ভূগছেন৷ উদাহরণ হিসাবে, আপনি যদি ভেজেটেরিয়ান বা নিরামিষী হন, তবে নাট, নাট বাটার, সিডস, তেল, এভোক্যাডো ইত্যাদি এড়িয়ে চলবেন৷ আপনি যদি আমিষী হন, তবে-ডিম,দুধ ও দুধজাত দ্রব্য, এনিম্যাল প্রোটিন এড়িয়ে চলুন বা কম করে দিন৷

খাবারে গৃহিত ফ্যাট বা চর্বি কম হলে- আপনার লিভার, প্যাংক্রিয়াস, এড্রিনালিন এ চাপ বা স্ট্রেইন কমবে৷ এটাই আপনাকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে সুগার থেকে প্রতিরক্ষা করবে বা সুগার নিরাময়ে সহায়তা করবে৷
যখন খাবার কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট সমৃদ্ধ হবে অর্থাৎ দুটোই থাকবে তখন ব্লাড গ্লুকোজ একটু বাড়লেও, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সি বৃদ্ধি পায় ৷ ফলে, দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি বেশী হয়৷ যখন খাবার শুধু চর্বিযুক্ত হয়, তখন ক্ষণস্থায়ী ব্লাড গ্লুকোজ না বাড়লেও, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সির জন্য দীর্ঘস্থায়ী ডায়াবেটিসের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়৷
যখন খাবার শুধুমাত্র কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ হয়, তখন তৎক্ষনাৎ রক্তে গ্লুকোজ বাড়লেও, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সি না বাড়ার জন্য ,দীর্ঘস্থায়ী সুগার নিরাময়ে সহায়ক৷

ফলে, সুগার রোগীদের বেশী বেশী করে কার্বোহাড্রেটসমৃদ্ধ খাবারই খেতে হবে৷

এড্রিনালিনের ভূমিকাঃ—
হাইপোগ্লাইসেমিয়া হল—টাইপ ২ ডায়াবেটিসের অগ্রদূত! যেটা স্ট্যাগন্যান্ট, শ্লাগিস,অভারবার্ডেন্ড, বা দূর্বল লিভারের জন্য ও অকার্যকরী বা ডিসফাংশনাল এড্রিনালিন এর জন্য হয়ে থাকে৷

প্রকৃতপক্ষে,টাইপ২ ডায়াবেটিস ও হাইপোগ্লাইসেমিয়া —দুটোই ম্যালফাংশনিং এড্রিনালিনের জন্য হয়ে থাকে৷যখন আপনার জীবনে ক্রনিক স্ট্রেস বা টেনশন বা নেগেটিভ চিন্তা বা দুঃশ্চিন্তা থাকবে,তখন আপনার এড্রিনালিন গ্লান্ড প্রচুর পরিমাণে এড্রিনালিন তৈরী করে৷ এড্রিনালিনের এই প্রাচুর্যতা প্যাংক্রিয়াসকে দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে৷ হাইপোগ্লাইসেমিয়াও হতে পারে যদি প্রতি ৯০ মিনিট পর পর ফল বা শব্জী না খান অথবা কোনকিছু না খান৷

স্ট্রেস অবস্থায় এমনিতেই ব্লাডে এড্রিনালিন বেশী; উপরন্তূ যদি নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবধানে খাবার না খাওয়া হয় ,তবে লিভারের গ্লাইকোজেন বা গ্লুকোজ স্টোর ব্যবহৃত হয় দেহটাকে সচল রাখতে৷ এক্ষেত্রেও, প্যাংক্রিয়াস ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সী বৃদ্ধি পাবে৷

অতিকম এড্রিনালিনও প্যাংক্রিয়াসকে ক্ষতি করে৷ কারণ, এড্রিনালিনের ঘাটতিতে অতিরিক্ত কাজ করে পুষাতে হয় এই প্যাংক্রিয়াসকে৷

ডায়াবেটিসের কমপ্লিকেশনঃ—
আমি এর আগে হাই ব্লাড প্রেসার, থাইরয়েড, ডিসপেপসিয়া, ব্রেন স্ট্রোক প্রভৃতি নিয়ে লিখেছি৷ প্রত্যেকটি লিখা আপনি www.asshifatrust.com অথবা www.ayanbanglanews.com এ স্বাস্থ্য বিভাগে পেয়ে যাবেন৷ আমি বলেছি— লিভার কীভাবে শ্লাগিস বা দূর্বল হয়ে পড়ছে এবং ফলস্বরুপ কী কী প্রতিফল আমরা পাচ্ছি৷

অতএব, লিভার যেহেতু ডায়াবেটিসের জন্য মূল সমস্যা; তাই একজন ডায়াবেটিস রোগী নিম্নোক্ত সমস্যাগুলি নিয়ে ভূগবে:—

১) হাই ব্লাড প্রেসার
২) হাই ব্লাড ফ্যাট ও তার কনসেক্যুয়েন্স
৩) থাইরয়েড ; যেহেতু অধিকাংশ ডায়াবেটিস রোগীর লিভারে প্যাথোজেনিক এক্টিভিটি থাকেই৷ এই প্যাথোজেন( EVB) থাইরয়েড গ্লান্ডে ইনফেক্ট করলে, থাইরয়েডের সমস্যা হবে৷
৪) রেটিনোপ্যাথি: হেভি মেটালস ও EBV,Shingles ভাইরাসের জন্য
৫) নেফ্রোপ্যাথি: অতি ঘন রক্তের জন্য ব্লাড ট্রান্সফিউসন কম হয়, অক্সিডেশন হয়, HHV 6,7 ভাইরাসের প্রভাবে হয়৷
৬)নিউরোপ্যাথি: EVB এর বাই প্রোডাক্ট ও মারকারি বন্ড করে নার্ভটক্সিক কেমিক্যাল নিউরোটক্সিন তৈরী করে৷ সেটা অতিরিক্ত হলে বিভিন্ন নার্ভ বা পেরিফেরাল ও সেন্ট্রাল নার্ভকে আক্রমন করে৷ ক্ষয় করে৷ ফলে প্রচন্ড যন্ত্রনা হয়৷
৭)এছাড়াও, আরও বহুবিধ সমস্যা থাকতে পারে৷

ব্লাড সুগার ইমব্যালান্স কীভাবে নিরাময় করা যায়?
ব্লাড সুগার ইমব্যালান্স কে স্থিতাবস্থা বা স্ট্যাবিলাইজ করতে রোগীর অবস্থান, বয়স ও লিঙ্গ ( মেয়েদের বেশী সময় লাগবে কারণ প্রতিমাসে হরমোনাল বা ইস্ট্রোজেন এর প্রভাব মাসিকের সময় সর্বোচ্চ হয়) অনুযায়ী ৬ মাস থেকে ১৮ মাস সময় লাগবে৷ নিম্নে বর্ণিত পদ্ধতি বা চিকিৎসা অনুযায়ী ডায়াবেটিস ছাড়াও অন্যান্য কমপ্লিকেশনও নিরাময় সম্ভবঃ—

(ক) ইমার্জেন্সি বা তৎক্ষনাৎ চিকিৎসা:
১| হঠাৎ করে ব্লাড গ্লুকোজ কমে গেলে( প্রচন্ড ঘাম, প্যালপিটেশন< এড্রিনালিনের জন্য> লেথার্জি, অজ্ঞান < সুগার সাপ্লাই ব্রেনে না হওয়ার জন্য>
Infusion D 25 , D5
যদি অজ্ঞান না হয়— মুখে ফ্রুট জ্যুস বা চিনি খাবেন৷

২| ব্লাড সুগার প্রচন্ড বেড়ে গেলেও অজ্ঞান হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সি প্রচন্ড থাকে বলে কোষ বা ব্রেন সুগার পাইনা৷ ফলে, অজ্ঞান হয়ে যায়৷ ব্লাডের ডেনসিটি বৃদ্ধি পায়, ফলে মাল্টি অর্গান ফেল্যুওর হতে পারে৷
এক্ষেত্রে, হাসপাতালে ভর্তি করে প্রোপার চিকিৎসা করতে হবে৷
ইনসূলিন, ফ্ল্যুয়িড, ইনজেকশন ৷

(খ) ক্রনিক অবস্থাঃ

১ | ব্লাডের গ্লুকোজ দ্রুত কম রাখতে , ইনসুলিন সিক্রেসন বাড়াতে— oral Hypoglycemic drugs আপাততঃ ব্যবহার করবে৷
পাশাপাশি—
২| ডায়েট পরিবর্তন:
= সমস্তরকম ফ্যাট যেমন-তেল,বাদাম,সিডস, দুধ, মাংস প্রভৃতি বন্ধ করতে হবে৷ দৈনিক ফ্যাট গ্রহণ করা ৫-১০% এ নামিয়ে আনতে হবে৷ সমস্তরকম ভাজাভূজি বন্ধ করতে হবে৷ সমস্তরকম সাদাতেল বন্ধ করতে হবে৷ খাঁটি সরিষার তেল অথবা ০.২—০.৮% এসিডিটির বিশুদ্ধ যায়তুন তেল রান্নাতে ব্যবহার করবেন৷ বিশুদ্ধ যায়তুন তেল হল সর্বোৎকৃষ্ট৷যায়তুন তেলে প্রচুর এন্টি অক্সিড্যান্ট থাকে বিধায় সুগার নিরাময়েও ভূমিকা রাখে৷
= কার্বোহাড্রেট জাতীয় খাবার খেতে হবে৷ যেমন-ভাত, রুটি, সমস্ত ফল( কোন ফলে বাধা নাই) , সমস্ত শব্জী ( আলু, পটল, কুমড়ো সহ সব) , সমস্ত মসলা( আদা,রসূন,পিঁয়াজ, এলাচ ) খাবে৷ অধিকাংশ ডায়াবেটিস রোগীদের লিভারে বিভিন্ন প্যাথোজেনিক এক্টিভিটি থাকে৷ বিধায়, গ্লুটেন জাতীয় খাবার বন্ধ রাখতে হবে৷ নচেৎ, লিভার ঐ প্যাথোজেনের অতিসক্রিয়তায় আরও দূর্বল হয়ে পড়ে৷ কারণ, গ্লুটেন প্যাথোজনগুলির ভাল ফুড৷ফলতঃ ব্লাড সুগার ইমব্যালান্সে আরও সমস্যা বাড়বে৷ তাই, রুটি,বিস্কুট, চানাচুর, হরলিক্স, পাউরুটি এই জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে৷ ভাতই খাবে ৷ অথবা মুড়ি বা ফলমূল খাবে৷
= অনেকেরই মাঝে এই বদ্ধমূল ধারণা আছে যে, ব্লাড সুগার ইমব্যালান্সে আলু খাওয়া যাবেনা৷ কিন্তূ, প্রকৃত পক্ষে আলু খেতেই হবে৷ আলুর কার্বোহাইড্রেট লিভারের নিঃশেষিত গ্লুকোজ বা গ্লাইকোজেন স্টোর পুণঃরুদ্ধারে দারুনভাবে সহায়ক৷ আলু বা শব্জীর বা ফলের কার্বোহাইড্রেট না খেলে সুগারই ভাল হবেনা!

৩| ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ বা শারিরীক ব্যায়াম বা কসরতঃ—
= শারিরীক কসরতে যে শক্তি খরচ হয়, তা শুধুমাত্র ব্লাড ফ্যাট ও সুগার ব্যবহৃত হয়৷ ব্লাড ফ্যাট যত বেশী খরচ করা যাবে, তত ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সি কমে যাবে৷ তত ইনসুলিনের এক্টিভিটি বাড়বে৷ ততই ব্লাডসুগার কমবে বা ব্যালেন্সে আসবে৷ তাই, ব্লাড সুগার ইমব্যালান্স ঠিক করতে দৈনিক বা অন্ততঃ সপ্তাহে ৫ দিন , ২০-৩০ মিনিট করে হাল্কা এক্সারসাইজ বা ফিজিক্যাল এক্টিভিটি করতেই হবে৷ সকালে হাঁটা বা জগিং করতে হবে৷ বা ট্রেড মিল এক্সারসাইজ করতে হবে৷

এই ব্যাপারে, জিডি হাসপাতালের উদ্যোগে
” হাঁটো বাংলা,হাঁটো” একটা ভাল সচেতনতামূলক পদক্ষেপ৷

৪| যাবতীয় দুঃশ্চিন্তা, খারাপ চিন্তা, অহঙ্কার, হিংসা, অসৎ আচরন ত্যাগ করে সুচিন্তা করতে হবে; মায়া মমতা, ভালবাসা, উদারনীতি, আড়ম্বরহীন, অহিংস ও সৎ চরিত্রে জীবনকে গড়তে হবে৷ ব্লাডে ক্ষতিকর এড্রিনালিন না থাকলে, ব্লাড সুগার ইমব্যালেন্স তৈরী হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়৷ জীবনের মানকে সমুন্নত করতে হবে স্নেহ, শ্রদ্ধা, মায়া, মমতা, ভালবাসা, মানবতাবোধ দিয়ে৷ খারাপি চরিত্রের যাবতীয় গুণ বিসর্জন দিতে হবে৷

৫| ঘুমঃ
নিয়মিত, বায়োলোজিক্যাল চক্র অনুযায়ী সঠিক সময়ে ঘুমাতে হবে৷ ব্লাডে ইন্ট্রিনসিক এন্টিঅক্সিড্যান্ট মেলাটোনিন বাড়াতে হবে৷ ব্রেনের পিনিয়াল গ্রন্থি থেকে নিসৃত এই মেলাটোনিনটি শুধুমাত্র অন্ধকার ও ঘুমন্ত অবস্থায় সিক্রেসন হয়৷ অতএব, রাত ৯/১০—৪/৫ টার মধ্যে অন্ধকার ঘরে ঘুমাতে হবে৷

৬| রেডিয়েশন, পেষ্টিসাইডস, ডিডিটি প্রভৃতি বিষগুলির এক্সপোজার কমাতে হবে৷ অর্গানিক ফুড খাওয়াতে সচেষ্ট হতে হবে৷

পেষ্টিসাইড কীভাবে লিভার ড্যামেজ করে তা জানতে পড়ুন—

বিষমুক্ত খাবারই পারে আমাদের বাঁচাতে!!

৭| ফুড গ্রেজিংঃ—

প্রতি ৯০ মিনিট পরপর ব্লাড গ্লুকোজ ড্রপ করে৷ এক্ষনে, এড্রিনালিন সিক্রেশন বৃদ্ধি পায়৷ ফলে, প্যাংক্রিয়াস স্ট্রেইন হয়৷ এই ব্লাডগ্লুকোজকে ড্রপ করা থেকে থামাতে ,আপনাকে প্রতি ৯০ মিনিট পরপর ন্যাচারাল গ্লুকোজ, পটাশিয়াম ও সোডিয়াম ব্লাডে ইনপুট করতে হবে৷ মুখ দিয়ে গ্লুকোজ ও পটাশিয়াম পেতে ফল এবং সোডিয়াম পেতে শব্জী খেতে হবে৷ অতএব, ফল ও শব্জীর ( কাঁচা) গ্রহণ প্রতি ৯০ মিনিট পরপর করতে হবে৷

তাতে, এড্রিনালিন ও প্যাংক্রিয়াস রেষ্ট পাবে ও নিজেকে রিস্টোর করে শক্তিশালী করে তুলবে৷ এটা সুগারকে সম্পূর্ণ ঠিক করতে ভীষণই জরুরী!

৮| খাদ্যতালিকাতে ফল,শব্জী,বনোফল, হার্বস রাখতে হবে৷

ধন্যবাদ৷

অবশ্যই আপনার উপকারে লাগবে৷ আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামতটি লিখে জানান৷

স্বাস্থ্য-গবেষণাdiabetes.Read More
Post navigation

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.