বেহালার ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডে অভূতপূর্ব সাড়া দুয়ারে সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডারে
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দুয়ারে সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডারে উল্লেখযোগ্য ভাবে সাড়া পড়েছে বাংলা জুড়ে। তারই নিদর্শন পাওয়া গেল ১৬ আগস্ট ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বেহালা হাই স্কুলে। ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর সঞ্চিতা মিত্র জানান, প্রায় ৫ হাজার জন মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডারে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য ফর্ম তুলেছেন। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যসাথী-র পর অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া গিয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডারে…..।”
সঞ্চিতা মিত্র বলেন, “করোনা আবহে ও লকডাউন পরিস্থিতিতে বহু মানুষই তাদের কাজ হারিয়েছেন, অনেকেরই কাজ-বাজ, ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা খুবই খারাপ। খুবই বিপদের মধ্যে রয়েছেন তারা। এই পরিস্থিতিতে “লক্ষ্মীর ভান্ডার” প্রকল্পে সমস্ত মহিলাদের হাতে ৫০০ টাকা ও তপসিলি মহিলাদের হাতে ১০০০ টাকা তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরফলে বহু মহিলারাই উপকৃত হবেন। আমার ওয়ার্ডের অধিকাংশ মহিলারাই ফর্ম তুলেছেন। আর যারা বাকি আছেন তারা পরবর্তী তারিখে নিশ্চয়ই লক্ষ্মীর ভান্ডারে নাম নথিভুক্ত করে নিতে পারবেন….।”
এইসঙ্গেই তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করে দেওয়া, বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা, বিধবা ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা, জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্ট করায় সহযোগিতা করা, পাড়ায় পাড়ায় সমাধান, যাদের রেশন কার্ড নেই তাদের জন্য রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করা, এছাড়াও যাদের রেশন কার্ড নেই, প্রথম সেই লকডাউন থেকে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের চাল-ডাল ইত্যাদি দেওয়া চলছে, আর যুবশ্রী, কন্যাশ্রী এসব তো রয়েছেই…. আমার ওয়ার্ডের কেউ কোনও ব্যাপারে সহযোগিতা চাইলেই আমি সদা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি…।” কোনও পুর পরিষেবা কিংবা সামাজিক কোনো কাজ থেকে বঞ্চিত রাখেন নি, তার ওয়ার্ডের মানুষকে….. এমনটাই দাবি সঞ্চিতা মিত্রের। এলাকার বাসিন্দারাও সঞ্চিতাদেবীর কাজে যারপরনাই খুব খুশি, এমন তথ্যও উঠে এলো প্রতিবেদকের এই দিনের ওয়ার্ড পরিক্রমায়।