দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে জোকা-তারাতলা মেট্রো’র ট্রায়াল রান, চিন্তার ভাঁজ অটো ও বাস মালিকদের কপালে
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : দীর্ঘ বারো বছরের প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। শীঘ্রই জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত চলাচল শুরু করবে মেট্রোরেল। তারই একটি “ট্রায়াল রান” হয়ে গেল বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর)। এদিন উড়াল পুলের উপর দিয়ে চললো মেট্রো। চলন্ত মেট্রোকে দেখার উৎসাহে ঠাকুরপুকুর থেকে শুরু করে বেহালায় ডায়মন্ড রোডের দু’পাশে ভিড় জমিয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। এরই পাশাপাশি যাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ার আশঙ্কায় চিন্তার ভাঁজ এখন অটো ও বেসরকারি বাস মালিকদের কপালে।
প্রসঙ্গত: গত ২০১০ সালে জোকায় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল শিলান্যাস করেছিলেন এই মেট্রো প্রকল্পের। উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সহ রাজ্যের বিশিষ্ঠ মানুষেরা। তারপর দীর্ঘ ১২ বছর ধরে চলে আসা মেট্রোর নির্মাণ কার্য এখন শেষের দিকে। খুব শীঘ্রই জোকা থেকে ঠাকুরপুকুর ও বেহালা হয়ে তারাতলা পর্যন্ত চলাচল শুরু করবে মেট্রো। এই সাড়ে ৬ কিলোমিটার যাত্রা পথে স্টেশনের সংখ্যা মোট ৬টি। মেট্রো কতৃপক্ষ জানিয়েছেন, মেট্রোতে জোকা থেকে তারাতলা পৌঁছুতে সময় লাগবে মাত্র ১২ মিনিট। জোকা, ঠাকুরপুকুর বাজার, সখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার ও তারাতলা আপাতত: এই ৬টি স্টেশন নির্ভর যাত্রাপথ দিয়েই চলবে মেট্রো।
কথায় আছে “নদীর একূল ভাঙ্গে.. ওকূল গড়ে” —- তাই মেট্রোর চলাচল শুরু হলেই তারাতলা-ঠাকুরপুকুর রুটের অটোতে যাত্রীর সংখ্যা নিশ্চিতভাবে কমতে চলেছে বলে আশঙ্কা করছেন অটোর মালিকেরা। পাশাপাশি কমবে বেসরকারি বাসের যাত্রী সংখাও। তাই স্বাভাবিক কারণেই অটো ও বাস মালিকদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ স্পষ্ট। শুধু তাই নয়, স্টেশন চত্বর পরিচ্ছন্ন রাখা ও ভিড়-ভাট্টা এড়ানোর জন্য স্টেশন সংলগ্ন কিছু হকারকেও অন্যত্র সরানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই চলাচল শুরু করবে মেট্রো।
ছবি : অরুণ লোধ।