অভিনব কায়দায় আত্মসাৎ করা হলো ৩০০০ টাকা ও সোনার দুল বহরমপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে

Spread the love

অভিনব কায়দায় আত্মসাৎ করা হলো 3000 টাকা ও সোনার দুল বহরমপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে।

আনসারুল ইসলাম.অয়ন বাংলা,মুর্শিদাবাদ-:- সারা পৃথিবীতে যখন মৃত্যু মিছিল অব্যাহত ডাক্তার নার্স ব্যস্ত হসপিটাল পরিষেবায়, পুলিশ ব্যস্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়। তখনই অভিনব কায়দায় গ্রাম্য দুই বধূর কাছ থেকে আত্মসাৎ করা হলো পাচানি সোনার দুল ও 3000 টাকা। বহরমপুর থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে তৈরি হয়েছে প্রতারণার ফাঁদ। প্রতিদিন প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন অনেক সহজ সরল মানুষ ওই একই জায়গা থেকে। সেখানে পুলিশ সব সময় থাকে কিন্তু প্রতারণা প্রতিনিয়ত প্রতিদিন একই জায়গা থেকেই হয়ে আসছে। একেবারে অভিনব কায়দায়, প্রতারকরা কখনো বলেন আমার বাবা হসপিটালে ভর্তি আছে টাকার দরকার তাই সোনার মালা, কানের দুল, হাতের ঘড়ি বিক্রি করতে এসেছি। বিভিন্ন জনকে বিভিন্নভাবে প্রতারিত করেন। তার সাথে দেখান দোকানের ক্যাস মেমো যাতে বসানো থাকে মোটা অঙ্কের টাকা। বলার বাঁচন ভঙ্গি এমনই থাকে যা দেখে মনে হয় সে বিপদ গ্রস্থ। মধ্যস্থতা করার জন্য তাদের তৈরি লোকও থাকে আশেপাশে দাঁড়িয়ে। 4-5 জন নিয়ে তৈরি এই প্রতারণার দল। করুণ মুখ দেখে তখনই গলে যান সহজ সরল মানুষ গুলি। প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে কিনে ফেলেন নকল জিনিস। তবে আজকের দিনের প্রতারণা এক্কেবারে নতুন কায়দায়।

দৌলতাবাদ থানা এলাকার কুলবাড়িয়া গ্রামের দুইজন মহিলা ডাক্তার দেখাতে যান মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। তারা ঘরে ফেরার সময় উঠেন রিক্সায়, নামার সময় রিক্সাওয়ালা একটা কাগজে মোড়ানো প্যাকেট কুড়িয়ে পায় বলে জানান। সেই প্যাকেট আরোহী দুই মহিলার কিনা তাই জিজ্ঞেস করেন রিক্সাওয়ালা। মহিলা দুজন বলেন প্যাকেট তাদের নয় তখনই পার্শ্ববর্তী একজন লোককে প্যাকেটটা খুলে দেখায়। সে প্যাকেটটা দেখে বলে এর মধ্যে চার ভরি সোনা আছে। এই সুযোগ টায় কাজে লাগায় রিক্সাওয়ালা। সে বলেন এই সোনা আপনাদের না হয় তাহলে আর কাউকে জানাজানি করবেন না। আসুন আমরা সোনার বিস্কুট টা তিনজনে মিলে ভাগ করে নিই। কিন্তু সোনা কিভাবে ভাগ করবেন পুলিশ জানলে তো বিস্কুট টি নিয়ে চলে যাবে। ওই রিস্কাওয়ালা প্রস্তাব দেয় যে সোনার বিস্কুট টি আপনারা নিয়ে চলে যান। আর আমাকে আপনাদের কাছে যা টাকা আছে সেগুলি দিয়ে যান। পড়ে পাওয়া সোনা নিয়ে তিনজনের মধ্যে দর কষাকষি ও শুরু হয়- স্থির হয় 3000 টাকা ও কানের দুল জোড়া দিলে তবেই সে 22 ক্যারেট সোনার বিস্কুট টি তাদের হাতে তুলে দেবে। যেমন প্রস্তাব তেমন কাজ গ্রাম্য বধূ দুজন একজন 3000 টাকা ও একজন কানের দুল দিয়ে নিয়ে আসে সোনার বিস্কুট। বাড়িতে এসে স্বর্ণকারকে দেখালে সে বলে এটি সোনা নয় পিতল তখন হুস ফিরে গ্রাম্য দুই মহিলার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.