সালটা ২০২৫, ভারতের পার্লামেন্টে পাক হামলা, তারপর পরমাণু যুদ্ধ…

Spread the love

নিউ ইয়র্ক: সালটা ২০২৫। পাক জঙ্গিদের ভয়াবহ হামলা ভারতের পার্লামেন্টে। একের পর এক নেতা-মন্ত্রীর মৃত্যু। সঙ্গে সঙ্গে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ট্যাংক পাঠাল ভারত। পাছে হেরে যায়। সেই ভয়ে বিশাল বাহিনী আর পরমাণু অস্ত্র নিয়ে হামলা চালাল পাকিস্তান। শুধু কয়েক মিলিয়ন টন কালো ধোঁয়ায় ভর গেল আকাশ।
যুদ্ধ হলে কী অবস্থা হতে পারে, সেই গবেষণা করেছে একদল বিশেষজ্ঞ। বুধবার তাদের পেশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত-পাক পরমাণু যুদ্ধ হলে অন্তত ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে। সেইঙ্গে জলবায়ুতে এমন পরিবর্তন হবে, যাতে না খেতে পেয়ে বহু মানু ষ মারা যাবে।

আমেরিকার নিউ ব্রান্সউইক-রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয় এই গবেষণা করেছে। রিপোর্ট বলছে , পরমাণু অস্ত্র যদি এশিয়ার দুটি দেশ ২০২৫ সালে ব্যবহার করে তাহলে তার থেকে ১৬-৩৬ মিলিয়ন টন ছোট ছোট কালো কার্বন পার্টিক্যাল বায়ুমন্ডলে মিশতে শুরু করবে। ২ সপ্তাহ ধরে তা মিশতে থাকবে। যার ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়বে গোটা বিশ্বে। এছাড়াও এই যুদ্ধের ফল হিসাবে একধরনের ‘কালিখ’ সূর্যের তাপকে শুষে নেবে , যা অত্যন্ত ক্ষতিকর ঘটনা হবে।

গোটা বিশ্বে পরমাণু শক্তিধর ৯ টি দেশ রয়েছে। তার মধ্যে ভারত-আর পাাকিস্তান সবচেয়ে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে এমন পরিস্থিতির দিকে। এর ফলে দুর্ভিক্ষ হবে দুটি দেশে। অন্যদিকে, ৫০ থেকে ১২৫ মিলিয়ন মানুষ নিমেষে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন পরমাণু যুদ্ধের প্রভাবে। উল্লেখ্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ৭৫ থেকে ৮০ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

গবেষণার রিপোর্ট বলছে, ২০২৫ সালে ভারত-পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধে ৪০০ থেকে ৫০০ টি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার হবে। রিপোর্ট বলছে, পরমাণু যুদ্ধে যদি দুটি দেশ মিলিয়ে এত সংখ্যক পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করে, তাহলে দুটি এলাকারই আগামী কয়েক প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রতিবন্ধকতা থেকে শুরু করে আঁকড়ে ধরতে পারে একাধিক সমস্যা।

এক গবেষক বলেন, এই সময়টা খুব তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, বর্তমানে কাশ্মীর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সমস্যা চলছে। আর তার জেরে প্রতি মাসেই সীমান্তে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.