স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সমীক্ষা বলছে দেশে মুসলিমদের জন্মের হার দ্রুত গতিতে কমছে
ওয়েব ডেস্ক: – এবার দেশে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে জন্মহার কমেছে ,রির্পোট স্বাস্থ্য মন্ত্রকের । মুসলিমদের মধ্যে সন্তান জন্মের হার অন্যান্য ধর্ম বা সম্প্রদায়ের তুলনায় অত্যন্ত দ্রুত গতিতে কমে যাচ্ছে- স্বাস্থ্যমন্ত্রকের একটি সমীক্ষা রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। গত পাঁচ বছরে সন্তানধারণের হার সবচেয়ে বেশি কমেছে মুসলিমদের মধ্যে। জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষা- ৫ (এনএফএইচএস)-এর সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই পরিসংখ্যানে স্বভাবতই হৈচৈ পড়ে গিয়েছে দেশীয় রাজনীতিতে। কারণ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি এতদিন ভারতে মুসলিমদের মধ্যে সন্তান জন্মের হার দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে প্রচার করে আস ছিল। যখন তারা ভারত ধীরে ধীরে ইসলামী রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে চলেছে বলে অপপ্রচার চালীয়ে হিন্দু ভোট টানায় ব্যস্ত। তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই সমীক্ষা রিপোর্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এই পরিসংখ্যানে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে এতদিন পর্যন্ত হিন্দুত্ববাদীরা শুধুই রাজনৈতিক স্বার্থে মুসলিমদের বিষয়ে মিথ্যা রটিয়ে আসছিল। এই ধরণের প্রচার চালীয়ে আসলে তারা হিন্দুদের মধ্যে ইসলাম বা মুসলিম ভীতি তৈরি করে রাজনৈতিক বৈতরনী পার করতে চেয়ে ছিল। আর সেই কাজে তারা অনেকটাই সফলও বলা যায়।
প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এই সমীক্ষা চালানো হয়। পাঁচ বছর আগে (২০১৫- ‘১৬-এনএফএইচএস-৪) সন্তান ধারণের বয়সে থাকা মুসলিম মহিলাদের গড় সন্তান সংখ্যা ছিল ২.৬। সদ্য সমাপ্ত (২০১৯-২০২১এনএফএইচএস-৫) সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সেই হার কমে হয়েছে ২.৩। অন্যদিকে সন্তান ধারণে সক্ষম মহিলাদের মাথাপিছু সন্তান সংখ্যায় অন্য ধর্ম সম্প্রদায়গুলি এখনও মুসলিমদের থেকে অনেকটা এগিয়ে আছে। হিন্দু, খ্রিস্টান, জৈন ও বৌদ্ধদের মধ্যে এই হার যথাক্রমে ১.৯৪, ১.৮৮, ১.৬১ এবং ১.৩৯। ফলে সর্বভারতীয় গড় এবার দুয়ের নিচে নেমে এসেছে। ১৯৯২-৯৩ সালে হওয়া প্রথম এনএফএইচএস-এর সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে সন্তান ধারণে সক্ষম মুসলিম মহিলাদের মাথাপিছু সন্তান সংখ্যার গড় অর্ধেকে নেমে এসেছে। তখন ওই সংখ্যা ছিল ৪.৪ জন। এখন সেই হার কমে হয়েছে ২.৩।
আগে প্রায়শই শোনা যেত মুসলমানরা গন্ডায় গন্ডায় বাচ্চা নিত । এ অপবাদ ঘূঁচল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ।