মন্ত্রী-বিধায়ক-কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ অটো চালকদের, অন্যদিকে উপকার করতে গিয়ে বদনাম মন্তব্য সঞ্চিতা মিত্রের

Spread the love

মন্ত্রী-বিধায়ক-কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ অটো চালকদের, অন্যদিকে উপকার করতে গিয়ে বদনাম মন্তব্য সঞ্চিতা মিত্রের

নিজস্ব প্রতিনিধি (কলকাতা) : ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডে বেহালা থানা থেকে পর্নশ্রীর উপর দিয়ে মোট ৪টি রুটের মোট ৯৭টি অটো চলাচল করে। কিন্তু এই অটোর লাইনে বেহালার মন্ত্রী ও বিধায়ক অন্য রুটের বেশ কিছু অটোকে ঢুকিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন অটো চালকেরা, এরই সঙ্গে আবার বুধবার (১১ মে) কাউন্সিলর সঞ্চিতা মিত্রের নাম জড়ালেন তারা। অভিযোগ, তিনিও নাকি ২টি অটোকে লাইনে ঢুকিয়েছেন। তবে অটো চালকদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সঞ্চিতা মিত্রের দাবি, ওয়ার্ডের দু’টি ছেলের উপকার করতে গিয়ে বদনামের ভাগীদার হতে হচ্ছে তাঁকে।

প্রসঙ্গত: বুধবার ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা “রাজা” এবং “বুলি” নামের দুই যুবকের অটো পর্নশ্রী রুটে চালানো নিয়ে তৃণমূলপন্থী দুই গোষ্ঠীর বিবাদ বাঁধে। অটো চালকদের এক গোষ্ঠীর আভিযোগ, “ওরা এখনও রুট পারমিট পায়নি, তাই এই রুটে ওদের গাড়ি চালানো যাবেনা।” পাশাপাশি অপর গোষ্ঠীর দাবি, ” আগে ওরা অন্যের অটো চালাতো। সম্প্রতি এই দু’জন “লোনে” অটো কিনেছে। রুট পারমিটের জন্য আবেদনও করেছে। গাড়িটা বসে থাকলে ব্যাংকের দেনা তো আর বসে থাকবে না, তাই সাময়িক কিছুদিনের জন্য পর্ণশ্রী লাইনে গাড়ি চালাবে বলে ঠিক করেছিল। সকালে লাইনে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তূ লাইনের সেক্রেটারি গৌতম সরকার (ঘনু) বিষয়টি জানতেই শুরু হয় জলঘোলা। ঘনু সবাইকে তাতিয়ে নিয়ে দিদির (সঞ্চিতা মিত্র) বিরুদ্ধে পর্নশ্রী থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে।”

শুধু সঞ্চিতা মিত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভই নয়, অটো চালকেরা বিধায়িকা রত্না চট্টোপাধ্যায় ও মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও “লাইনে” গাড়ি ঢোকানোর অভিযোগে সরব হন। তাদের অভিযোগ, ১৫ বছর আগেকার অন্য বাই রুটের গাড়িকে সম্প্রতি এই লাইনে ঢুকিয়েছেন তারা। বারংবার তাদের বলা সত্ত্বেও কাজ হচ্ছেনা। এবিষয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার লাইন পাওয়া যায়নি।

তবে সঞ্চিতা মিত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “রাজা ও বুলি দুজনেই ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ওরা তৃনমূলের বুথ এজেন্টও বটে। সম্প্রতি ওরা অটো কিনেছে। ওরা আমাকে বলেছিল, ‘দিদি রুট পারমিট পেতে তো কিছুদিন দেরি হবে। তাই বসে না থেকে যদি কিছুদিন এই লাইনে গাড়ি চালাই..।’ আমিও সম্মতি দিয়েছিলাম। আমি ওদের উপকার করতে গিয়ে শেষমেষ বদনামের ভাগীদার হয়ে গেলাম। আসলে ওরা লাইনে ঢোকার জন্য টাকা দেবেনা বলেই এই ক্ষোভ-বিক্ষোভ টাকা দিলে এসব হতোনা।”

এইসঙ্গেই তিনি বলেন, “ডায়মন্ড হারবার, আমতলা, পইলান, বনগা অঞ্চলের অটো চালকেরা এখানে গাড়ি চালাচ্ছে তাতে অসুবিধা নেই। ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ওয়ার্ডের মধ্যে অটো চালালে অসুবিধা ? মাস দেড়েক আগে আমি বলেছিলাম, যারা গাড়ি চালাচ্ছে তাদের ভোটার কার্ড, আঁধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি পর্ণশ্রী থানায় জমা করতে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ সেটা করেনি। কোনো একটা অঘটন ঘটলে তার দায় নেবে কে ?”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.