অবশেষে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা বাবুল সুপ্রিয়র, খোঁচা শুভেন্দুকে

Spread the love

নিউজ  ডেস্ক: – প্রায় এক মাস অপেক্ষার অবসান। লোকসভার স্পিকারের দেখা পেলেন বাবুল সুপ্রিয় । মঙ্গলবার বেলার দিকে তিনি ওম বিড়লার বাড়ি গিয়ে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। ইস্তফাপত্র  গ্রহণ করেছেন স্পিকারও। তাঁর বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ”আমি আর এখন বিজেপির কেউ নই। তাই সাংসদ পদ আঁকড়ে ধরে রাখার অর্থ নেই। আমি পদত্যাগ করলাম।” এবার কি তবে আসানসোল থেকে লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন গায়ক? এই জল্পনা আরও জোরদার হচ্ছে।

 

বিজেপি ছেড়েছিলেন আগেই। পুজোর আগে, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আচমকাই তৃণমূলে শিবিরে নাম লিখিয়ে ফেলেন আসানসোলের সদ্যপ্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তারপরই তিনি নিয়ম মেনে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নেন। তারপর সেইমতো লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার (Speaker Om Birla) কাছে সময় চান তিনি। তাঁকে চিঠি লিখে, দিল্লি গিয়ে দেখা করার চেষ্টাও করেন। কিন্তু স্পিকার ব্যক্তিগত কাজে থাকায় বাবুল সুপ্রিয়কে সময় দিতে পারেননি। ফলে সেবার ইস্তফাপত্র না দিয়েই দিল্লি থেকে ফিরেছিলেন বাবুল। তার মধ্যে অবশ্য নিজের সংসদীয় তহবিলের সমস্ত অর্থ খরচের জন্য মঞ্জুর করে দেন। যতদিন সাংসদ পদে ছিলেন, ততদিন পর্যন্ত অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে দিয়েছেন।

 

রবিবার থেকেই শোনা যাচ্ছিল, মঙ্গলবার নাকি ওম বিড়লা সময় দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়কে। একথা তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন টুইট করে। সেইমতো মঙ্গলবার বেলার দিকে ওম বিড়লার বাড়িতে যান বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বলার পর সাংসদ হিসেবে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দেন। বেরিয়ে তিনি বলেন, ”বিজেপি শিবির থেকেই আমি রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছি। প্রধানমন্ত্রী, অমিত শাহ, দলের সভাপতির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তাঁরা আমার প্রতি ভরসা রেখেছেন। কিন্তু আমি দলটা অন্তর থেকেই ছেড়েছি। তাই মনে করি যে বিজেপির হয়ে আমার সাংসদ পদটাও রাখা উচিত নয়।” এবার থেকে তিনি পুরোদস্তুর তৃণমূলের সৈনিক হিসেবেই কাজ করবেন।

 

এরপরই গুঞ্জন আরও উসকে উঠেছে, বাবুল কি তাহলে এবার তৃণমূলের (TMC) হয়ে আসানসোল থেকে লড়াইয়ে নামবেন? এ নিয়ে দিন কয়েক আগে তিনি প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। নিজের সাংসদ পদ ছাড়া নিয়ে তাঁর মন্তব্য ছিল, ”মানুষের ভালবাসা পেলে আবার আসানসোল থেকে জিতে আসব।” বুঝিয়েছিলেন, ফের সাংসদ হিসেবেই তিনি দিল্লির রাজনৈতিক মহলে যেতে চান। অন্যদিকে, এদিন ইস্তফা দেওয়ার পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নিয়ে বলেন, ”শুভেন্দুর উচিত নিজের বাবা, ভাইকে বুঝিয়ে ইস্তফা দেওয়ানো।”

সৌজন্য :- সংবাদ প্রতিদিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.