প্রগতিশীল নাট্য সন্ধ্যায় মুক্তাঙ্গনে মঞ্চস্থ হলো তিনটি নাটক
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : প্রগতিশীল নাট্য ও সংস্কৃতি চর্চা মঞ্চের আয়োজনে এবং কলকাতা নাটকওয়ালার ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয় “প্রগতিশীল নাট্য সন্ধ্যা”। শনিবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় রাসবিহারীতে মুক্তাঙ্গনে মঞ্চস্থ হলো তিনটি নাটক। নাটক তিনটির নাম — “ব্লাড টেস্ট” “বাস্তব” এবং “বোবা টেলিফোন”।
এদিনের নাট্য সন্ধ্যায় প্রথম নাটকটি ছিল ‘কোলকাতা নাটকওয়ালা’ প্রযোজিত “ব্লাড টেস্ট’। নাটকটির মূল বিষয়বস্তু ছিল — সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। রচয়িতা রোমেন রহমান (বাংলা দেশ)। মঞ্চ পরিকল্পনা সমীক সরকার ও রাজীব দে’র। রূপসজ্জায় বিন্দিয়া দাস এবং শমীক সরকার। আলোকসম্পাতে সৌমেন কুণ্ডু, পোশাক সমীরণ নাগ, সহযোগী ছিলেন কৃষ্ণেন্দু ব্যানার্জী। সমগ্র পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ছিলেন শুভঙ্কর দাস। বিশেষ সহযোগিতার ভুমিকায় দেখা গেল নাট্য প্রেমী জয় মুখার্জীকে।
অভিনয়ে ছিলেন — সমীরণ নাগ, সমীক সরকার, সুনীল বানু, বিন্দিয়া দাস, সুমন্ত্র সাতরা, সৌগত দে এবং রাজীব দে। নাটকে এঁদের সকলের প্রানবন্ত অভিনয় দর্শকমন জয় করেছে।
দ্বিতীয় নাটকটির নাম “বাস্তব” প্রযোজনা — “নক্ষত্র নাট্য সংস্থা” হুগলী। বর্তমান সমাজে সন্ত্রাস, খুন, ধর্ষনের বিরুদ্ধে নারীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেভাবে রুখে রুখে দাঁড়ালো, এবং সমাজবিরোধী শক্তিকে দমন করলো — তাতে নাটকটিতে নারী শিক্ষার বিষয়ে আলোকপাত ছিল নাট্যকারের মূল দৃষ্টিভঙ্গি। নাটক ও নির্দেশনায় ছিলেন, মলয় চক্রবর্তী। অলোয় কল্যাণ দাস যথেষ্ট দক্ষতা দেখিয়েছেন। আবহ সঙ্গীতে শ্রেয়া পুরকায়েতের ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য। পোশাকে মলয় চক্রবর্তী মানানসই।
অভিনয়ে ছিলেন, সমীর ব্যানার্জী, মাধবী চক্রবর্তী, পারমিতা ভট্টাচার্য, গোপাল রজক, মলয় চক্রবর্তী, কাজল চক্রবর্তী, শাজাহান, শ্যাম, নির্মাল্য, গৌতম দাস, দেবস্মিতা, বৈশাখী পুরকায়েত, চন্দ্রা ঘোষ, সুতনওয়া প্রমূখ। এঁরা নিজ নিজ দক্ষতায় নাটকটিতে টানটান উত্তেজনা বজায় রেখেছেন। দর্শকরাও যেন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে একমনে নাটকটি উপভোগ করেছেন। এক কথায় নাটকটি ছিল — নারীশিক্ষার অন্যতম বিষয়।
এদিনের তৃতীয় ও শেষ নাটকটি ছিল “বোবা টেলিফোন”। একমাত্র ছেলে বিদেশে কর্মরত। অথচ সদ্য বিধবা মায়ের একাকীত্বের যন্ত্রণায় পাগল হয়ে যাওয়া যেন এক মর্মস্পর্শী ভাবাবেগের সঞ্চার করে। মায়ের ভূমিকায় বেবী সেনের অনবদ্য অভিনয় নাটকটিতে এক অন্য মাত্রা যোগ করেছে। যারফলে নাটকটি প্রতিটি দর্শক মন ছুঁয়ে যায়।
বেবী সেন ছাড়াও অভিনয়ে ছিলেন — সমীরণ নাগ, অর্ঘ্যজ্যোতি সেন, বিন্দিয়া দাস। নাটকের প্রযোজনায় “কাব্যাঙ্গন হালতু” নাট্য গ্রুপ। রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন, পিনাকী চ্যাটার্জী। আলোকে প্রিয়তোষ চ্যাটার্জী। ধ্বনি সুমন্ত্র সাতরার।
সবশেষে মোহনম পারফর্মিং আর্ট সেন্টার নিবেদিত নৃত্যনাট্য “কবি প্রণাম” ছিল প্রশংসনীয়।
ছবি : রিমা শিকদার।
![](https://ayanbangla.in/wp-content/uploads/2022/06/tea.jpeg)
![](https://ayanbangla.in/wp-content/uploads/2022/05/Ads.jpeg)