মহাকাশ নিয়ে তাত্বিক গবেষণায় স্বীকৃতি পেলেন বাঙালি কৃতি সন্তান সায়ীদুল ইসলাম
নিউজ ডেস্ক: মহাকাশের ওয়ার্মহোল ব্ল্যাকহোল ও গ্র্যাভাস্টার নিয়ে তাত্বিক গবেষণায় স্বীকৃতি পেলেন বাঙালি কৃতিসন্তান সায়ীদুল ইসলাম। এই গবেষণায় সফল হওয়ায় তাকে ডক্টরেট পিএইচডি ডিগ্রী দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে খুবই আকর্ষণীয় গবেষণার বিষয় হল ওয়ার্মহোল, যেটি এই মহাবিশ্বের দুটি স্থানের মধ্যে শর্টকাট পথ। এই ওয়ার্মহোলের অস্তিত্ব গ্যালাক্সির ভিতরে আছে যা সম্প্রতি অধ্যাপক ফারুক রহমান ও প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
তাঁর গবেষণা প্রসঙ্গে ডঃ সায়ীদুল ইসলাম জানান ২০১৬সালে একটি নতুন গ্যালাক্সির আবিষ্কার হয় যার নাম দেয়া হয়েছে ‘ড্রাগনফ্লাই ৪৪ গ্যালাক্সি’। এই গ্যালাস্কির ভিতরে আছে কি-না, তাঁর পিএইচডি গবেষণার একটি অন্যতম বিষয় ছিল। তাঁর গবেষণায় ড্রাগনফ্লাই ৪৪ গ্যালাক্সিতে ওয়ার্মহোলের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে বলে জানান তিনি। তাঁর এই গবেষণার বিষয়বস্তু খ্যাতনামা আন্তর্জাতিক জার্নালেও প্রকাশিত হয়েছে।
তার এই গবেষণার কাজে দেশ-বিদেশের নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রোমানিয়ন অধ্যাপক রেডনসচি, তুরস্কের অধ্যাপক হালিশয়, সাউথ আফ্রিকার অধ্যাপক মেগান প্রমুখ। মূলত এসব কাজের স্বীকৃতি দিয়েই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি তাকে ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করেছে।
ডঃ সায়ীদুল ইসলাম হাওড়ার আল-আমিন মিশনের একজন প্রাক্তন ছাত্র। তাঁর এই সাফল্যের জন্য মিশনের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলামকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি সায়ীদুল নানা সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের নিয়ে বেঙ্গলি একাডেমী ফর সোসাল এম্পাওয়ার্মেন্ট (বেস) নামে একটি সংগঠন করে, সামাজিক কাজকর্ম অব্যাহত রেখেছেন। যে সংগঠন মূলত শিক্ষা সংস্কৃতি নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে কাজ করে চলেছে। সংগঠনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন ডক্টর সায়ীদুল ইসলাম।
সৌজন্যে পুবের কলম