ওয়েব ডেস্ক: – আজান নিয়ে উপাচার্যের অভিযোগের পরই প্রয়াগরাজে লাউডস্পিকার ব্যবহারে জারি নিষেধাজ্ঞা
বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের আইজি। আজানের শব্দে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের এই অভিযোগের পরই লাউডস্পিকার ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্ত নিলেন প্রয়াগরাজের ইনস্পেক্টর জেনারেল অব পুলিশ। রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে সমস্ত লাউডস্পিকার। বিবৃতিতে এমনটাই জানানো হয়েছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রয়াগরাজের ইনস্পেক্টর জেনারেল অব পুলিশ তাঁর অন্তর্গত এলাকার সমস্ত জেলাশাসক এবং সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ পদে থাকা পুলিশ আধিকারিকদের এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ওই এলাকায় রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সমস্তরকম লাউডস্পিকার বন্ধ রাখতে হবে। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, প্রয়াগরাজের আইজির অধীনে চারটি জেলা রয়েছে। ওই চারটি জেলাতেই এই নিয়ম কার্যকর হবে।
এর আগে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জেলাশাসক ভানুচন্দ্র গোস্বামীর কাছে একটি চিঠি লেখেন। তাতে তিনি অভিযোগ করেন, সাতসকালে মাইকে আজানের সুর ভেসে এলে তাঁর ঘুমের প্রচণ্ড ব্যাঘাত ঘটে। এমনকী, শুরু হয়ে যায় মাথাব্যথাও। আর এই ব্যথা চলতে থাকে সারাদিন। তাই অবিলম্বে তাঁর বাড়ির কাছে অবস্থিত মসজিদে বন্ধ হোক মাইকের ব্যবহার। তবে তাঁর চিঠিতে তিনি এটাও পরিষ্কার করে দেন, তিনি কোনও ধর্মের বিরোধী নন। কিন্তু রমজানের সময় ভোর চারটে থেকে মসজিদের মাইকে যেভাবে ঘোষণা শুরু হয়ে যায়, তাতে এলাকার মানুষদের অসুবিধা হয়। এরপরই ঘটনাটি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। আর এই বিতর্কের মাঝেই আইজি-র এই নির্দেশ। যা বিতর্কের আগুনে আরও ঘি ঢালল বলেই মনে করা হচ্ছে। এই বিতকিত সিদ্ধান্ত এক কথায় নজির বিহীণ ।
সৌজন্য :- সংবাদ প্রতিদিন