আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট নিরসনে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইল সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন

Spread the love

*আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট নিরসনে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইল সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন*

নিউজ ডেস্ক :-  পূর্ব ভারতের সর্বপ্রথম সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলিয়া মাদ্রাসা। আলিয়া মাদ্রাসা ধারাবাহিক ছাত্র আন্দোলনের চাপে তৎকালীন বাম শাসনের শেষে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। সেই আলিয়া এখন শুধু তালতলা ক্যাম্পাসে সীমাবদ্ধ নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদান্যতায় পার্কসার্কাস ও নিউটাউনে এর বহু শাখা প্রশাখা বিস্তার করেছে। বাংলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রায় তিন কোটি মানুষের উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন এই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক।

এই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে বেশ কয়েক মাস যাবৎ একের পর এক উদ্বেগজনক খবর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মাঝে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। ঐতিহাসিক আলিয়া চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে। ২০১৯-২০ ও ২০-২১ অর্থবর্ষে সরকারের বরাদ্দ অর্থের ন্যুনতম সাহায্যও আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পায়নি বলে জানা গিয়েছে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে কর্মচারীদের বেতন পর্যন্ত আটকে গিয়েছে। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মণ্ডলী রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। মন্ত্রী ও দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে কোন সুরাহা হয়নি বলে রাজ্যের মানুষকে আলিয়ার এই সংকটময় পরিস্থিতির কথা জানাতে ও মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি গোচরের জন্য এক খোলা চিঠি দিয়েছেন। যা ইতিমধ্যে রাজ্যের আলিয়া প্রেমিদের মন ভারাক্রান্ত করেছে।

রাজ্যের মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়নের প্রাক্তন নেতৃবৃন্দ ও বর্তমান নেতৃত্ব আলিয়ার সংকট নিরসনে গণ আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করছে। রবিবার দুপুরে সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মহঃ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে সাংগঠনিক বৈঠকে রাজ্যের সংখ্যালঘু দপ্তরের নিয়ন্ত্রানাধীন থাকা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা ও সংকট নিরসনে অতিদ্রুত মুখ্যমন্ত্রী থেকে সংশ্লিষ্ট সমস্ত দপ্তরে ডেপুটেশন দিয়ে আলিয়ার প্রতি হওয়া অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে প্রকৃত বিষয়টি রাজ্যের মানুষকে জানানোর চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন।

যুব ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সোনারপুরের পুলিশ কর্মী সোরাফ হোসেনের উপর হওয়া অমানবিক নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানানো হয় ও বলা হয় তাঁর পরিবারকে নিয়ে ন্যায় বিচারের জন্য সংখ্যালঘু কমিশনের দ্বারস্থ হবে।ও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী সময় থেকে রাজ্যের ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান নেই। দ্রুত ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সরকারের কাছে দাবি জানাবে যুব ফেডারেশন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.