ওয়েব ডেস্ক :- বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে আপতত ২৫টিরও বেশি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাম কংগ্রেস জোট সঙ্গী আইএসএফ। ফুরফুরার তরুণ পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী যখন নতুন দল গড়ার কথা ঘোষণা করেন তখন নানা সমালোচনা হয়। এক শ্রেণির মানুষ ও কিছু রাজনৈতিক দলের নেতারা আব্বাস সিদ্দিকীর দলকে মুসলিম তকমা দিয়ে কোণঠাসা করার চেষ্টা করে। বিজেপিকে প্রত্যক্ষভাবে সুবিধা করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তরুণ এই নেতার বিরুদ্ধে। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর সেই ছবি আরো স্পষ্ট হয়েছে বলে ধারণা অনেকের। প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন কয়েকজন প্রাক্তন বিজেপি নেতা কর্মী।
কিছুদিন পূর্বে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির সঙ্গে বৈঠকের পর ধারণা করা হচ্ছিল মীমের মুখ হয়েই বাংলায় নির্বাচনে লড়বেন আব্বাস সিদ্দিকী।কিন্তু মাঝ পথেই নাটকীয় পরিবর্তন, সিপিএম ও কংগ্রেস আব্বাস সিদ্দিকীর দল আইএসএফকে জোটে নিতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। শেষমেষ বাম-হাতের অফার পেয়ে নিমের সঙ্গ ত্যাগ করেন এই নেতা। এবারের নির্বাচনে ২৬ টি বিধানসভা আসনের প্রার্থী দিচ্ছে আইএসএফ ।কিন্তু প্রার্থী তালিকায় বিজেপির প্রাক্তন নেতাকর্মীদের অবস্থান, ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।নদীয়ার চাপড়া বিধানসভা আসনে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত আইএসএফ প্রার্থী কাঞ্চন মৈত্র। তিনি ২০০৬ সালে শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যদিও সেবার তিনি ভোট পান মাত্র ৪০৩৮ টি। ওই আসনে ৯০ হাজার ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেসের অজয় দে।প্রার্থী নিয়ে আরও কয়েকটি আসনে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম ভোটের সিংহভাগ এখন তৃণমূলের দখলে।গত লোকসভা ভোটের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গের কোন বিধানসভা আসনেই এগিয়ে নেই বামেরা। সেক্ষেত্রে সিপিএম কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে আব্বাস সিদ্দিকীর দল আইএসএফ যদি মুসলিম ভোট বিভাজনে সক্ষম হয়, তাহলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তার ফসল ঘরে তুলবে বিজেপি;এমনটাই আশঙ্কা অনেকের।সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভোট পরবর্তী বিজেপিকে সমর্থন দেওয়ার সম্ভাবনাও একেবারেই নাচক করেননি ধর্মগুরু থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে পা দেওয়া আব্বাস সিদ্দিকী ।তারউপর প্রার্থী হিসেবে প্রাক্তন বিজেপি নেতাদের নাম উঠে আসায়, বিতর্কের মাত্রা বহু গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
![](https://ayanbangla.in/wp-content/uploads/2022/06/tea.jpeg)
![](https://ayanbangla.in/wp-content/uploads/2022/05/Ads.jpeg)